বরিশালে বিপৎসীমার উপরে নদীর পানি, লোকালয়ে পানি
bd news 24 |
বরিশালের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি ও নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে প্লাবিত হচ্ছে বিস্তীর্ণ নিচু এলাকা। bd news 24
আবার জোয়ারে লোকলয়ে প্রবেশ করা পানি বের হতে না পেরে জলবদ্ধতারও সৃষ্টি হচ্ছে। যদিও এসব কিছুর মাঝেই কিশোর ও তরুণরা জালসহ বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ ব্যবহার করে মাছও শিকার করছে প্লাবিত পানির মধ্যে।
এদিকে অস্বাভাবিক জোয়ার ও পানির গতির কারণে নদীতে নৌযান চালনা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নৌযানের চালকরা জানান, স্রোতের কারণে সতর্ক থেকে নৌযান চালনা করতে হচ্ছে। অনেক নদী বা চ্যানেলের মোহনায় পানির চাপ এতটাই বেশি থাকে যে ঘুরে এসে চ্যানেলে প্রবেশ করতে হয়। আবার পানি বেড়ে যাওয়ায় কোনটা নদীর মূল চ্যানেল আর কোনটা চড়া তাও বুঝতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। bd news 24
সবশেষ তথ্যানুযায়ী, মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া ইউনিয়নের হাজিরহাট বাজার থেকে লালগঞ্জ যাওয়ার পথের একটি ব্রিজ পানির স্রোতে ভেঙে পড়েছে। এছাড়া হিজলার বাটামারা ইউনিয়নে নদী ভাঙনও দেখা দিয়েছে।
বরিশাল নগরের রসুলপুর এলাকার বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও বিকেল ৩টা থেকে কীর্তনখোলা নদীর পানি একটু একটু করে খাল ও ড্রেন হয়ে নগরের বিভিন্ন সড়ক ও এলাকায় প্রবেশ করে। এতে সব শ্রেণির মানুষ দুর্ভোগ পোহালেও বেশি বিপদে পড়েছেন গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের কাঁচা চুলা ভিজে যাওয়ায় রান্নাও বন্ধ হয়ে গেছে। আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। bd news 24
নগরের সদররোডের বাসিন্দা টিপু সুলতান বলেন, এবারে শহরে এমন কিছু এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকেছে বিগত সময়ে সেখানে কখনো পানি ঢুকতে দেখিনি। আবার নিম্নাঞ্চলগুলোতেও পানির উচ্চতা বিগত দিনের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে।
বরিশাল সদর উপজেলার বাসিন্দা রাসেল হোসেন জানান, জোয়ার শুরু হওয়ার পর প্রতি মুহূর্তে পাল্টে যাচ্ছে নদী তীরবর্তী এলাকার দৃশ্য। প্রথমে নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে, এরপর যেখান থেকে সুযোগ পাচ্ছে, ভাঙা বাঁধ, নয়তো রাস্তা দিয়ে পানি গ্রামের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে এবং বাড়ি-ঘর তলিয়ে যাচ্ছে। এতে মানুষের ভোগান্তি চরমে গিয়ে ঠেকেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হতে চাচ্ছে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২১ আগস্ট বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবশেষ হিসাবে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। bd news 24
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানান, অমাবস্যার প্রভাবে জোয়ারে সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে। বরিশালের বেশিরভাগ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পানি থাকার পর আবার ভাটায় নেমে যাচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই